বহুব্রীহি সমাস
বহুব্রীহি সমাস ৮ প্রকার। যথা:
১। সমানাধিকরণ বহুব্রীহি: পূর্বপদ বিশেষণ ও পরপদ বিশেষ্য অথবা পূর্বপদ বিশেষ্য এবং পরপদ বিশেষণ হয়ে যে সমাস হয়, তাকেই সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস বলে।
বিশেষণ + বিশেষ্য
অথবা
বিশেষ্য + বিশেষণ
যেমন: নীল কন্ঠ যার = নীলকন্ঠ। এখানে- নীল (বিশেষণ) কন্ঠ (বিশেষ্য)
আরো উদহারণ: কালোবরণ, পীতাম্বর, নীলাম্বর, উচ্চশির, খোশমেজাজ, পোড়াকপালে, হৃতসর্বস্ব, জবরদস্তি, সুশীল, সুশ্রী, বদবখ্ত, কমবখ্ত, অন্যমনস্ক, সুকন্ঠ, ইঁচড়েপাকা
২। ব্যধিকরণ বহুব্রীহি: যে বহুব্রীহি সমাসে সমস্যমান পদের দুটিই বিশেষ্যপদ হয়, তাকে ব্যধিকরণ বহুব্রীহি সমাস বলে।
বিশেষ্য + বিশেষ্য
যেমন: বীণা পানিতে যার = বীণাপানি।
শূল পানিতে যার = শূলপানি কথা সর্বস্ব যার = কথাসর্বস্ব
অশ্রু মুখ যার = অশ্রুমুখী অন্য মন যার = অন্যমনা
আরো উদাহরণ: ক্ষণজন্মা, খড়গহস্ত, বিয়োগান্ত, কর্ণফুলী, চশমা-নাকে, চুড়ি-হাতে, ছাতা-হাতে,
মনে রাখতে হবে, (পরপদ কৃদন্ত বিশেষণ হলেও ব্যধিকরণ বহুব্রীহি সমাস হয়।)
যেমন- দুই কান কাটা যার = দু কানকাটা। বোঁটা খসেছে যার = বোঁটাখসা।
আরো উদাহরণ: ছা-পোষা, পা-চাটা, পাতা-চাটা, পাতাছেঁড়া, ধামাধরা
0 Comments